পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর বহরে থাকা সবচেয়ে আধুনিক মিসাইল


বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে থাকা সবচে শক্তিশালী তিনটি মিসাইল।

প্রথমেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  বহরে থাকা মিসাইল সিস্টেমের মধ্যে সবচে আধুনিক মিসাইল হলো চীনের তৈরী ডাব্লিউ এস - ২২ এ গাইডেড মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম। এই মিসাইল সিস্টেম দ্বারা ১২২ মিলিমিটার গাইডেড রকেটের মাদ্ধমে শত্রুর ঘাঁটি, এয়ারপোর্ট, সিপোর্ট, নেভাল ফিল্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জন, রাডার সিস্টেম ও যুদ্ধযান ধ্বংস করা সম্ভব। এক একটি ট্রাকে মোট ৮০ টি করে রকেট বহন করতে পারে যা ২০-৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শত্রুর উপর বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
এরপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী : বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বর্তমান বহরে থাকা সবচে আধুনিক মিসাইল হলো রাশিয়ার তৈরী আর-৭৭ এয়ার টু এয়ার মিসাইল। এই মিশাইলগুলো বিমানবাহিনীর সবচে শক্তিশালী বিমান মিগ্ ২৯ বহন করে থাকে। মিগ্-২৯ এই আর-৭৭ মিসাইল ফায়ার করার মাদ্ধমে ৮০ কিলোমিটার দূরের বিমানকে ভূপাতিত করতে সক্ষম। এছাড়া বিমান বাহিনীর হাতে মাটি থেকে শত্রু বিমান ধ্বংসের জন্য চাইনিজ এফএম-৯০ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রয়েছে যা ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে উড়ে যাওয়া বিমান কে আক্রমণ করতে সক্ষম। এই মিসাইল সিস্টেম বিমান বাহিনী ছাড়াও সেনা ও নৌবাহিনীতেও মজুদ আছে।

এবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে বিভিন্ন আধুনিক মিসাইল রয়েছে এর মধ্যে সবচে আধুনিক মিসাইল হলো ইতালির তৈরী অটোমেট এমকে ২ এন্টি শিপ মিসাইল যেটা নৌবাহিনীর সবচে আধুনিক ফ্রিগেট বিএনএস বঙ্গবন্ধু বহন করে থাকে। এই মিসাইল এর মাদ্ধমে ১৮০ কিলোমিটার দূরের জাহাজকে ধ্বংস করা সম্ভব। এছাড়া ১৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের চাইনিজ এস ওয়াই ১ ছাড়াও বেশ কিছু ভালো মিসাইল রয়েছে নৌবাহিনীতে।
এই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মিসাইল পাওয়ার। এছাড়া বেশ কিছু ভালো মানের মিসাইল কেনার প্রস্তুতি চলছে, ইনশাল্লাহ কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ভালো মিসাইল আমাদের দেশে দেখতে পারবো।

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে ড্রোনে আগ্রহ দেখিয়েছে সেই টিএআই আনকা কতটুকু শক্তিশালী


গত পোস্টে আপনাদের জানিয়েছি বাংলাদেশ তুরস্কের তৈরী ড্রোন, প্রশিক্ষণ বিমান ও এট্যাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী। তুরস্কের সংবাদ মাদ্ধমে এই খবর প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাদ্ধম বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফ থেকে এমন কোনো সংবাদ এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ যদি সত্যি এই অস্ত্র গুলো কিনতে পারে তাহলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই পোস্টে জানাবো তুর্কির ড্রোন TAI  Anka কতটুকু কার্যকরী।
** TAI  Anka ড্রোনটির দৈর্ঘ ২৬ ফুট এবং ডানার একপ্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তের দৈর্ঘ প্রায় ৫৭ ফুট।
আর মাটি থেকে যেটাকে পরিচালনা করতে দু জন কন্ট্রোলার প্রয়োজন হয়। 
** সম্পূর্ণ লোডেড অবস্থায় মোট ১৬০০ কেজি ওজন হয় এই ড্রোনটির।
** একটি ১৫৫ হর্স পাওয়ারের ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিনের শক্তিতে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ২১৭ কিলোমিটার গতিতে ড্রোনটি উড়তে সক্ষম।
** একবার রসদ নিয়ে একটানা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উড়তে পারে এই ড্রোনটি। যা আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজার ১৪ বারেরও বেশি পাড়ি দেওয়ার সমান দূরত্ব।
** এছাড়া ড্রোনটি ২০০-২৫০ কেজি বোমা নিয়ে মাটি থেকে ২৫০০০ ফুট উপরে একটানা ২৪ ঘন্টা আকাশে উড়তে সক্ষম।
** ড্রোনটিতে মোট চারটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে যেগুলোর দুটি হার্ডপয়েন্টে তুর্কির তৈরী রকেটসান কিরীট লেজার গাইডেড এয়ার টু সারফেস, এন্টি ট্যাঙ্ক বা এন্টি আড়মোড় মিসাইল বহন করে যা প্রায় ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
** বাকি দুটি হার্ডপয়েন্টে আমেরিকার তৈরী AIM-9 Sidewinder এয়ার টু এয়ার মিসাইল বহন করে যা ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু বিমান বা হেলিকপ্টারকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
এধরণের ৩ টি ড্রোন, একটি গ্রাউন্ড স্টেশন, মিসাইল এবং সাপোর্টেড কিছু যন্ত্রাংশ সহ এর মোট মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫২০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭

তুরস্কের তৈরি ড্রোন, প্রশিক্ষণ বিমান ও এট্যাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ


বর্তমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং মুসলিম বিশ্বের সবচে শক্তিধর তুর্কির সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যেখানে বাংলাদেশের ক্লোজ বন্ধুরাষ্ট্র ভারত, চীন, রাশিয়া মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেখানে এই ইস্যুতে যে কোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে পরীক্ষিত এই বন্ধু রাষ্ট্রটি। রাষ্ট্রটি ট্যাংক, এপিছি, এয়ারক্রাফট, ড্রোন, জাহাজ সহ প্রায় সব ধরণের যুদ্ধাস্ত্র তৈরী করে থাকে। বাংলাদেশ ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রায় ৬০০ টি এপিছি কিনতে যাচ্ছে এই দেশ থেকেই। এবার আবার খবর এসেছে বাংলাদেশ তাদের থেকে এটাক ড্রোন, ট্রেইনার এয়ারক্রাফটস এবং এটাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খবরটি তুর্কির প্রভাবশালী সংবাদ মাদ্ধম ডেইলি সাবাহ গত ৭ নভেম্বর জানিয়েছে।
(Turkish defense industry eyes ASEAN aerospace market.)...এই শিরোনামের খবরটিতে বলা হয়েছে। .Apart from ASEAN countries, the South Asian country of Bangladesh is reported to have shown keen interest in ANKA, armed and unarmed HÜRKUŞ and the ATAK helicopter.................
অর্থাৎ বাংলাদেশ সেই দেশ থেকে তাদের এটাক ও গোয়েন্দা ড্রোন TAI Anka,ট্রেইনার বিমান Hurkus এবং T-129 ATAK হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী।
বাংলাদেশের সাথে তুর্কির যৌথ অস্ত্র প্রোডাকশনের একটা গুঞ্জন উঠেছিল বেশ কিছুদিন আগে। যদিও বাংলাদেশের সাথে মাঝে অনেকটা সময়ই তুর্কির খারাপ সম্পর্কের কারণে এর অগ্রগতি আর দেখা যায়নি। তুর্কির সাথে আবারো ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলে অস্ত্র তৈরির পুরোনো ব্যাপারটি আলোর মুখও দেখতে পারে।

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান কতটা শক্তিশালী


গত পোস্টে আপনাদের জানিয়েছি রাশিয়া বাংলাদেশকে মিগ্ ৩৫ এর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদি বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে আমাদের দেশের বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারে ভবিষ্যতে এর এসেম্বিল বা প্রোডাকশন লাইনও হতে পারে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এতো ব্যয়বহুল প্রজেক্ট হাতে নিতে রাজি হয় কিনা। যাইহোক অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন মিগ্ ৩৫ বিমানটি আসলে কতটুকু শক্তিশালী ? বেশি ভূমিকা না বাড়িয়ে চলুন জানা যাক মিগ্ ৩৫ এর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে।
** মিগ্ ৩৫ হলো ৩২০ কোটি টাকা মূল্যের রাশিয়ার তৈরী একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান।
** ১ জন/২ জন ক্রু দ্বারা পরিচালিত এই বিমানের দৈর্ঘ প্রায় ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৪০ ফুট।
** খালি অবস্থায় বিমানটির ওজন ১১ টন। এবং লোডেড অবস্থায় ওজন ১৭.৫ টন।
এবার দেখা যাক বিমানটির পারফর্মেন্স।
** মিগ্ ৩৫ বিমানের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ২৪০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে বিমানটির সময় লাগবে মাত্র ৮ মিনিট।
** একবার রসদ নিয়ে বিমানটি একটানা ২০০০ কিলোমিটার পারি দিতে সক্ষম যা ঢাকা থেকে যশোর ১৩ বারের বেশি পারি দেওয়ার সমান।
এবার চলুন দেখি কি কি অস্ত্র ব্যবহার করে এই বিমান।
** বিমানটিতে যুক্ত আছে ১৫০ রাউন্ডের একটি ৩০ মিলিমিটার অটোকেনন। 
এবং বিমানটিতে মোট ৯ টি হার্ডপয়েন্ট আছে যেখানে মোট ৭০০০ কেজি বোমা ও মিসাইল বহন করতে পারে।
** বিভিন্ন আনাইডেড রকেট এবং কিছু শক্তিশালী মিসাইল বহন করতে পারে বিমানটি।
মিসাইল গুলোর মধ্যে রয়েছে শত্রু বিমান বিদ্ধংসী আর-৭৩ ও আর-৭৭ যে মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ৮০ কিলোমিটার।
** এছাড়া মাটিতে থাকা শত্রুর জন্য রয়েছে কেএইস-এল বা টিই যে মিসাইলটি ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু ঘাঁটিতে আক্রমণ করতে সক্ষম।
শত্রুর জাহাজ ধ্বংসের জন্য বিমানটি ব্যবহার করে কেএইস-৩১ এডি মিসাইল যা প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু জাহাজে আক্রমণ করতে সক্ষম।
** এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল হিসাবে বিমানটি ব্যবহার করে থাকে কেএইস-৩১ পিডি মিসাইল।
এই অস্ত্রগুলো ছাড়াও টিভি গাইডেড, লেজার গাইডেড সহ বিভিন্ন গাইডেড বোমাও বহন করতে সক্ষম এই বিমানটি।
নিঃসন্দেহে বিমানটি অনেক আধুনিক এবং বাংলাদেশ যদি রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে কাজ শুরু করে তবে বাংলাদেশকে আরো অনেক দূর আগাতে হবে।


রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশকে মিগ-৩৫ এর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া


বাংলাদেশকে মিগ্ ৩৫ এর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সবচে প্রভাবশালী সমর সংবাদ দাতা ওয়েবসাইট, বিডি মিলিটারি ডট কম এই খবর জানিয়েছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশকে ৪+ জেনারেশনের মিগ্ ৩৫ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানের টোট বা প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়া। উক্ত প্রস্তাবে বাংলাদেশ সম্মত হলে, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারে মিগ্ ৩৫ বিমানের এসেম্বিল, কিছু যন্ত্রপাতি দেশীয় ভাবে প্রস্তুতের সহায়তা, বিমানটির মেইনটেনেন্স এবং দেশেই প্রোডাকশন লাইন তৈরির প্রযুক্তি ও দেওয়া হতে পারে। এই প্রস্তাবটিকে, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারে যে বিমান তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, সেটা খুব দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ বলেই দেখছেন অনেকেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারকে মিগ্ ৩৫ এর মতো জটিল প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ করার  সক্ষমতা অর্জন বা ওই মাপের জনবল তৈরী করা একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও মন্ত্যব্য রয়েছে। যদিও প্রস্তাবটির জন্য বাংলাদেশকে কি কি শর্তে রাজি হতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনো উল্লেখ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ যদি এই প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরী হবে মিগ্ ৩৫ এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান।