পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর বহরে থাকা সবচেয়ে আধুনিক মিসাইল


বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে থাকা সবচে শক্তিশালী তিনটি মিসাইল।

প্রথমেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  বহরে থাকা মিসাইল সিস্টেমের মধ্যে সবচে আধুনিক মিসাইল হলো চীনের তৈরী ডাব্লিউ এস - ২২ এ গাইডেড মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম। এই মিসাইল সিস্টেম দ্বারা ১২২ মিলিমিটার গাইডেড রকেটের মাদ্ধমে শত্রুর ঘাঁটি, এয়ারপোর্ট, সিপোর্ট, নেভাল ফিল্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জন, রাডার সিস্টেম ও যুদ্ধযান ধ্বংস করা সম্ভব। এক একটি ট্রাকে মোট ৮০ টি করে রকেট বহন করতে পারে যা ২০-৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শত্রুর উপর বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
এরপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী : বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বর্তমান বহরে থাকা সবচে আধুনিক মিসাইল হলো রাশিয়ার তৈরী আর-৭৭ এয়ার টু এয়ার মিসাইল। এই মিশাইলগুলো বিমানবাহিনীর সবচে শক্তিশালী বিমান মিগ্ ২৯ বহন করে থাকে। মিগ্-২৯ এই আর-৭৭ মিসাইল ফায়ার করার মাদ্ধমে ৮০ কিলোমিটার দূরের বিমানকে ভূপাতিত করতে সক্ষম। এছাড়া বিমান বাহিনীর হাতে মাটি থেকে শত্রু বিমান ধ্বংসের জন্য চাইনিজ এফএম-৯০ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রয়েছে যা ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে উড়ে যাওয়া বিমান কে আক্রমণ করতে সক্ষম। এই মিসাইল সিস্টেম বিমান বাহিনী ছাড়াও সেনা ও নৌবাহিনীতেও মজুদ আছে।

এবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে বিভিন্ন আধুনিক মিসাইল রয়েছে এর মধ্যে সবচে আধুনিক মিসাইল হলো ইতালির তৈরী অটোমেট এমকে ২ এন্টি শিপ মিসাইল যেটা নৌবাহিনীর সবচে আধুনিক ফ্রিগেট বিএনএস বঙ্গবন্ধু বহন করে থাকে। এই মিসাইল এর মাদ্ধমে ১৮০ কিলোমিটার দূরের জাহাজকে ধ্বংস করা সম্ভব। এছাড়া ১৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের চাইনিজ এস ওয়াই ১ ছাড়াও বেশ কিছু ভালো মিসাইল রয়েছে নৌবাহিনীতে।
এই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মিসাইল পাওয়ার। এছাড়া বেশ কিছু ভালো মানের মিসাইল কেনার প্রস্তুতি চলছে, ইনশাল্লাহ কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ভালো মিসাইল আমাদের দেশে দেখতে পারবো।

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে ড্রোনে আগ্রহ দেখিয়েছে সেই টিএআই আনকা কতটুকু শক্তিশালী


গত পোস্টে আপনাদের জানিয়েছি বাংলাদেশ তুরস্কের তৈরী ড্রোন, প্রশিক্ষণ বিমান ও এট্যাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী। তুরস্কের সংবাদ মাদ্ধমে এই খবর প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাদ্ধম বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফ থেকে এমন কোনো সংবাদ এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ যদি সত্যি এই অস্ত্র গুলো কিনতে পারে তাহলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই পোস্টে জানাবো তুর্কির ড্রোন TAI  Anka কতটুকু কার্যকরী।
** TAI  Anka ড্রোনটির দৈর্ঘ ২৬ ফুট এবং ডানার একপ্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তের দৈর্ঘ প্রায় ৫৭ ফুট।
আর মাটি থেকে যেটাকে পরিচালনা করতে দু জন কন্ট্রোলার প্রয়োজন হয়। 
** সম্পূর্ণ লোডেড অবস্থায় মোট ১৬০০ কেজি ওজন হয় এই ড্রোনটির।
** একটি ১৫৫ হর্স পাওয়ারের ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিনের শক্তিতে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ২১৭ কিলোমিটার গতিতে ড্রোনটি উড়তে সক্ষম।
** একবার রসদ নিয়ে একটানা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উড়তে পারে এই ড্রোনটি। যা আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজার ১৪ বারেরও বেশি পাড়ি দেওয়ার সমান দূরত্ব।
** এছাড়া ড্রোনটি ২০০-২৫০ কেজি বোমা নিয়ে মাটি থেকে ২৫০০০ ফুট উপরে একটানা ২৪ ঘন্টা আকাশে উড়তে সক্ষম।
** ড্রোনটিতে মোট চারটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে যেগুলোর দুটি হার্ডপয়েন্টে তুর্কির তৈরী রকেটসান কিরীট লেজার গাইডেড এয়ার টু সারফেস, এন্টি ট্যাঙ্ক বা এন্টি আড়মোড় মিসাইল বহন করে যা প্রায় ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
** বাকি দুটি হার্ডপয়েন্টে আমেরিকার তৈরী AIM-9 Sidewinder এয়ার টু এয়ার মিসাইল বহন করে যা ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু বিমান বা হেলিকপ্টারকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
এধরণের ৩ টি ড্রোন, একটি গ্রাউন্ড স্টেশন, মিসাইল এবং সাপোর্টেড কিছু যন্ত্রাংশ সহ এর মোট মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫২০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭

তুরস্কের তৈরি ড্রোন, প্রশিক্ষণ বিমান ও এট্যাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ


বর্তমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং মুসলিম বিশ্বের সবচে শক্তিধর তুর্কির সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যেখানে বাংলাদেশের ক্লোজ বন্ধুরাষ্ট্র ভারত, চীন, রাশিয়া মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেখানে এই ইস্যুতে যে কোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে পরীক্ষিত এই বন্ধু রাষ্ট্রটি। রাষ্ট্রটি ট্যাংক, এপিছি, এয়ারক্রাফট, ড্রোন, জাহাজ সহ প্রায় সব ধরণের যুদ্ধাস্ত্র তৈরী করে থাকে। বাংলাদেশ ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রায় ৬০০ টি এপিছি কিনতে যাচ্ছে এই দেশ থেকেই। এবার আবার খবর এসেছে বাংলাদেশ তাদের থেকে এটাক ড্রোন, ট্রেইনার এয়ারক্রাফটস এবং এটাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খবরটি তুর্কির প্রভাবশালী সংবাদ মাদ্ধম ডেইলি সাবাহ গত ৭ নভেম্বর জানিয়েছে।
(Turkish defense industry eyes ASEAN aerospace market.)...এই শিরোনামের খবরটিতে বলা হয়েছে। .Apart from ASEAN countries, the South Asian country of Bangladesh is reported to have shown keen interest in ANKA, armed and unarmed HÜRKUŞ and the ATAK helicopter.................
অর্থাৎ বাংলাদেশ সেই দেশ থেকে তাদের এটাক ও গোয়েন্দা ড্রোন TAI Anka,ট্রেইনার বিমান Hurkus এবং T-129 ATAK হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী।
বাংলাদেশের সাথে তুর্কির যৌথ অস্ত্র প্রোডাকশনের একটা গুঞ্জন উঠেছিল বেশ কিছুদিন আগে। যদিও বাংলাদেশের সাথে মাঝে অনেকটা সময়ই তুর্কির খারাপ সম্পর্কের কারণে এর অগ্রগতি আর দেখা যায়নি। তুর্কির সাথে আবারো ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলে অস্ত্র তৈরির পুরোনো ব্যাপারটি আলোর মুখও দেখতে পারে।

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান কতটা শক্তিশালী


গত পোস্টে আপনাদের জানিয়েছি রাশিয়া বাংলাদেশকে মিগ্ ৩৫ এর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদি বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে আমাদের দেশের বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারে ভবিষ্যতে এর এসেম্বিল বা প্রোডাকশন লাইনও হতে পারে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এতো ব্যয়বহুল প্রজেক্ট হাতে নিতে রাজি হয় কিনা। যাইহোক অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন মিগ্ ৩৫ বিমানটি আসলে কতটুকু শক্তিশালী ? বেশি ভূমিকা না বাড়িয়ে চলুন জানা যাক মিগ্ ৩৫ এর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে।
** মিগ্ ৩৫ হলো ৩২০ কোটি টাকা মূল্যের রাশিয়ার তৈরী একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান।
** ১ জন/২ জন ক্রু দ্বারা পরিচালিত এই বিমানের দৈর্ঘ প্রায় ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৪০ ফুট।
** খালি অবস্থায় বিমানটির ওজন ১১ টন। এবং লোডেড অবস্থায় ওজন ১৭.৫ টন।
এবার দেখা যাক বিমানটির পারফর্মেন্স।
** মিগ্ ৩৫ বিমানের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ২৪০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে বিমানটির সময় লাগবে মাত্র ৮ মিনিট।
** একবার রসদ নিয়ে বিমানটি একটানা ২০০০ কিলোমিটার পারি দিতে সক্ষম যা ঢাকা থেকে যশোর ১৩ বারের বেশি পারি দেওয়ার সমান।
এবার চলুন দেখি কি কি অস্ত্র ব্যবহার করে এই বিমান।
** বিমানটিতে যুক্ত আছে ১৫০ রাউন্ডের একটি ৩০ মিলিমিটার অটোকেনন। 
এবং বিমানটিতে মোট ৯ টি হার্ডপয়েন্ট আছে যেখানে মোট ৭০০০ কেজি বোমা ও মিসাইল বহন করতে পারে।
** বিভিন্ন আনাইডেড রকেট এবং কিছু শক্তিশালী মিসাইল বহন করতে পারে বিমানটি।
মিসাইল গুলোর মধ্যে রয়েছে শত্রু বিমান বিদ্ধংসী আর-৭৩ ও আর-৭৭ যে মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ৮০ কিলোমিটার।
** এছাড়া মাটিতে থাকা শত্রুর জন্য রয়েছে কেএইস-এল বা টিই যে মিসাইলটি ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু ঘাঁটিতে আক্রমণ করতে সক্ষম।
শত্রুর জাহাজ ধ্বংসের জন্য বিমানটি ব্যবহার করে কেএইস-৩১ এডি মিসাইল যা প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু জাহাজে আক্রমণ করতে সক্ষম।
** এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল হিসাবে বিমানটি ব্যবহার করে থাকে কেএইস-৩১ পিডি মিসাইল।
এই অস্ত্রগুলো ছাড়াও টিভি গাইডেড, লেজার গাইডেড সহ বিভিন্ন গাইডেড বোমাও বহন করতে সক্ষম এই বিমানটি।
নিঃসন্দেহে বিমানটি অনেক আধুনিক এবং বাংলাদেশ যদি রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে কাজ শুরু করে তবে বাংলাদেশকে আরো অনেক দূর আগাতে হবে।


রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশকে মিগ-৩৫ এর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া


বাংলাদেশকে মিগ্ ৩৫ এর প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সবচে প্রভাবশালী সমর সংবাদ দাতা ওয়েবসাইট, বিডি মিলিটারি ডট কম এই খবর জানিয়েছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশকে ৪+ জেনারেশনের মিগ্ ৩৫ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানের টোট বা প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়া। উক্ত প্রস্তাবে বাংলাদেশ সম্মত হলে, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারে মিগ্ ৩৫ বিমানের এসেম্বিল, কিছু যন্ত্রপাতি দেশীয় ভাবে প্রস্তুতের সহায়তা, বিমানটির মেইনটেনেন্স এবং দেশেই প্রোডাকশন লাইন তৈরির প্রযুক্তি ও দেওয়া হতে পারে। এই প্রস্তাবটিকে, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারে যে বিমান তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, সেটা খুব দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ বলেই দেখছেন অনেকেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এরোনেটিক্স সেন্টারকে মিগ্ ৩৫ এর মতো জটিল প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ করার  সক্ষমতা অর্জন বা ওই মাপের জনবল তৈরী করা একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও মন্ত্যব্য রয়েছে। যদিও প্রস্তাবটির জন্য বাংলাদেশকে কি কি শর্তে রাজি হতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনো উল্লেখ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ যদি এই প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরী হবে মিগ্ ৩৫ এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান।

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুর্জয় ট্যাঙ্ককে কতটা আধুনিক করেছে বাংলাদেশ



বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রায় ২ শতাধিক চাইনিজ টাইপ ৫৯ ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে। ট্যাংকটিকে আসলে সেকালে রূপের ট্যাঙ্ক বলা চলে শুধু বাংলাদেশ নয় ইরান, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া সহ পৃথিবীর ১৮ টি দেশ এই ট্যাংকটি এখনো ব্যবহার করে আসছে। এর মধ্যে ইরান, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ নিজেদের প্রচেষ্টায় এই ট্যাংকে আধুনিক করে তুলেছে। আর এই দেশগুলোর মধ্যে সবচে বেশি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ইন্সটল করেছে বাংলাদেশ।এখন পর্যন্ত ১৭৪ টি ট্যাঙ্কের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বলতে গেলে টাইপ ৫৯ এর কিছুই রাখেনি বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়াররা। সেকেলে রূপের এই ট্যাংকে এতটাই পরিবর্তন করা হয়েছে যে এর নতুন নাম হয়েছে দুর্জয় মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক।
চলুন এবার দেখি কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে আমাদের দুর্জয় ট্যাংকে।
১. ১০০ মিলিমিটার মেইন গান কে ফেলে দিয়ে এতে লাগলো হয়েছে ১২৫ মিলিমিটার গান যাতে করে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. টাইপ ৫৪ মেশিনগানটির পরিবর্তে Type-85 12.7×108 এম এম মেশিন গান যুক্ত করা হয়েছে । ৩০০০ রাউন্ড গুলির এই মেশিনগান শত্রুর এটাক হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়া বিমান বা সামনে আসা শত্রু যুদ্ধযানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া শত্রু সেনাদের বিরুদ্ধে ফায়ার সাপোর্ট দিতে রয়েছে ৭.৬২ মিলিমিটার মেশিনগান।
এই ট্যাংকে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে ৮১ এমএম স্মোক গ্রেনেড।
এই অস্ত্র ছড়াও এই ট্যাংক থেকে ব্যারেল লন্সড এটিজিএম বা এন্টি ট্যাংক মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছে।
৩. এই ট্যাংকের গায়ে বিভিন্ন ধরণের বর্ম লাগানো হয়েছে যা ট্যাংকটিকে আরও শক্ত পোক্ত এবং শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষায় শক্তিশালী করে তুলেছে। এর মধ্যে রয়েছে ই আর এ এবং মডুলার কম্পোজিট আর্মার যে দুটি প্রযুক্তি শত্রুর বিভিন্ন আক্রমণ সহ্য করতে সক্ষম। এছাড়া এর পিছনের দিকে যুক্ত করা হয়েছে বিশেষ ধরণের খাঁচা যা একে শত্রুর আরপিজির আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা প্রদান করেছে। এই ধরণের বর্মের কোনোটাই ছিল না এই ট্যাংকে। বাংলাদেশ এগুলো নতুন করে যুক্ত করেছে।
৪. এছাড়া এতে আরো যোগ করা হয়েছে নিউক্লিয়ার বায়োলজিক্যাল এন্ড কেমিক্যাল প্রটেকশন ব্যবস্থা এবং ফায়ার সুপারেশন ব্যবস্থা। যা শত্রুর মারাত্মক রাসায়নিক আক্রমণ থেকে ট্যাংক ক্রুদের রক্ষা করবে।
৫. আগের ৫২০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনের পরিবর্তে লাগানো হয়েছে ৭২০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন যা এর শক্তিকে পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করেছে।
৬. এগুলো ছাড়াও এতে যুক্ত করা হয়েছে লেজার ওয়ার্নিং রিসিভার, লেজার ডিজিগনেটোর, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, কম্ব্যাট ডাটা লিংক, থার্মাল ইমেজ প্রযুক্তি যা একে রাতের অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা প্রদান করেছে।
 এগুলো ছাড়াও যোগ করা হয়েছে ভিএলসি ৩০০০ রেডিও কন্ট্রোল সিস্টেম সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি।
এক কথায় পুরোনো ট্যাঙ্কের বডির উপর বিভিন্ন বর্ম এবং ভেতরে সব আধুনিক নতুন নতুন যন্ত্রপাতি এবং অস্ত্র। যেটাকে আর সেকেলে বা পুরোনো ট্যাঙ্ক কোনো ভাবেই বলা সম্ভব না। আর এই বিশাল পরিবর্তনের ফলে এই টাইপ ৫৯ জাতির মধ্যে দুর্জয় হলো সবচে আধুনিক ট্যাংক। আর আমাদের ভবিষ্যৎ দেশীয় ট্যাঙ্কের স্বপ্ন।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেরা ৫ টি আর্টিলারি সিস্টেম


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র যুক্ত হচ্ছে। বিমান, ট্যাঙ্ক, এপিছি থেকে শুরু করে বাদ পড়ছে না আধুনিক কামান। আজকে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ৫ টি কামান সম্পর্কে জানবো।
৫. ডি-৩০ টুয়েড হুইটজার: ডি-৩০ টুয়েড হুইটজার হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরী ১২২ এমএম আর্টিলারি গান যা সিরিয়া এবং ইয়েমেনের যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই আর্টিলারি গান দ্বারা ১৫ থেকে ২১ কিলোমিটারের মধ্যে শত্রু ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানা যাই।

৪. এম-৪৬ টুয়েড হুইটজার: এম-৪৬  টুয়েড হুইটজার প্রায় ৭ টন ওজনের সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরী ১৩০ এমএম  টুয়েড আর্টিলারি গান যা ২৭ থেকে ৩৮ কিলোমিটারের মধ্যে শত্রুকে লক্ষ্য করে ১৩০ এমএম কামানের শেল নিক্ষেপ করতে পারে।

৩. এম-১০১ টুয়েড আর্টিলারি: এম ১০১ আমেরিকার তৈরী ১০৫ এমএম আর্টিলারি যা ভিয়েতনামের যুদ্ধে আমেরিকান সেনারা ব্যাপক ব্যবহার করেছিল। বর্তমানে যা তুর্কি,পাকিস্তান, জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার মতো আধুনিক সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই আর্টিলারি গান দ্বারা ১১ কিলোমিটারের মধ্যে শত্রু ঘাঁটি কামানের শেল দ্বারা নিশ্চিন্ন করে দেওয়া সম্ভব।

২. টাইপ ৬২ সেল্ফ প্রোপেল্ড আর্টিলারি : টাইপ ৬২ সেল্ফ প্রোপেল্ড আর্টিলারি হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হ্যাভি ভেহিকেল ফ্যাক্টরির ডিজাইন এবং ম্যানুফেকচার করা একটি অত্যাধুনিক আর্টিলারি যা বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা চাইনিজ টাইপ ৬২ লাইট ব্যাটেল ট্যাঙ্কের উপর ১০৫ এম এম আর্টিলারি গান বসিয়ে তৈরী করেছেন। বাংলাদেশের ইন্জিনিররা এতে আরো যুক্ত করেছেন ১২.৭ হ্যাভি ট্যাঙ্ক বিদ্ধংসী গান যা এর সামনে আসা শত্রু ট্যাংকে ধ্বংস করতে পারে। এছাড়া এই যুদ্ধ জানে রয়েছে ৭.৬২ এমএম মেশিনগান যা শত্রু সেনাদের লক্ষ্য করে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গুলি ছুড়তে সক্ষম। সব মিলে এটি বাংলাদেশে তৈরী এক ভয়ঙ্কর মরনাস্ত্র।

১. নোরা বি ৫২: নোরা বি ৫২ হলো বাংলাদেশের সবচে আধুনিক সার্বিয়ার তৈরী স্বয়ংক্রিয় কামান, যা মাত্র তিনজন সৈনিক দ্বারা পরিচালনা করা সম্ভব। ৩৪ টন ওজন বিশিষ্ট এই অত্যাধুনিক কামান একটি হ্যাভি ভেহিকেল যা যে কোনো সড়কে ঘন্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে সক্ষম। এবং ৩১ থেকে ৫২ কিলোমিটারের মধ্যে শত্রু ঘাঁটিকে নিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম। এই যুদ্ধযানে রয়েছে ১৫২ এমএম কামান এবং ৭.৬২ এমএম মেশিন গান এবং ২০০৫ সালের দাম অনুযায়ী যার একেকটির দাম ৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনী কতটুকু শক্তিশালী


আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ।ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি এই দেশটিকে চেনেননা এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই। শুধু ফুটবল নয় দেশটির সেনাবাহিনীর শক্তিও কম নয়। আমাদের আজকের ভিডিওতে দেখাবো এই দেশের সামরিক শক্তি সম্পর্কে।
** দেশটির মোট আয়তন ২৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের ১৮ গুনের বেশি ।
** দেশটির মোট জনসংখ্যা মাত্র ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ।
** এই জনসংখ্যার গড় মাসিক ইনকাম বাংলাদেশী টাকাই ৮২ হাজার টাকা।
চলুন জেনে নেই এই দেশটির সেনাবাহিনীর বর্তমান অবস্থা।
** আর্জেন্টাইন সামরিক বাহিনীতে মোট সদস্যের সংখ্যা ৭৫ হাজার এবং রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে ৫২ হাজার ৭০০ জন।
** এই বাহিনীতে মোট ব্যাটেল ট্যাঙ্ক আছে ৩৯২ টি।
** আর্জেন্টাইন সেনাবাহিনীতে এপিছি বা বিভিন্ন ফাইটিং ভেহিকেল রয়েছে ৮৮২ টি।
** এই বাহিনীতে সেলফ প্রোপেল্ড আর্টিলারি আছে ৪৩ টি।
** দেশটির গোলন্দাজ বাহিনীতে থাওয়েড আর্টিলারি আছে ২৮৯ টি।
** এছাড়া আর্জেন্টাইন সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন প্রকার সর্বমোট ৩২ টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম রয়েছে।
চলুন এবার দেখা যাক আর্জেন্টাইন বিমান বাহিনীতে কি পরিমান যুদ্ধ বিমান আছে।
** এই বিমান বাহিনীতে সর্বমোট বিমান আছে ২৪৮ টি যাদের মধ্যে ফাইটার বিমান ৩২ টি। এবং ৬৪ টি এট্যাক এয়ারক্র্যাফট আছে আর্জেন্টাইন বিমান বাহিনীতে।
** এই বাহিনীতে সর্বমোট ১০২ টি পরিবহন বিমান রয়েছে।
** পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে এই বাহিনীতে আছে ৫৯ টি প্রশিক্ষণ বিমান।
** মোট ৮৬ টি হেলিকপ্টার আছে ব্রাজিল বিমান বাহিনীতে।
এবার দেখা যাক কি কি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে আর্জেন্টাইন নৌবাহিনীতে।
** আর্জেন্টিনার সর্বমোট ৪,৯৮৯ কিলোমিটার কোস্টলাইন আছে যা বাংলাদেশের কোস্টলাইনের ৮ গুনের বেশি।
** আর এই বিশাল সুমুদ্রসীমা পাহারা দিতে আর্জেন্টাইন নৌবাহিনীতে রয়েছে ৪২ টি যুদ্ধজাহাজ।
** যেগুলোর মধ্যে ৪ টি ডেস্ট্রয়ার, ৯ টি করভেট, ৩ টি সাবমেরিন এবং ৬ টি পেট্রল ক্র্যাফট।

*****এই ছিল আর্জেন্টিনার সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা।*****

রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭

ব্রাজিল সেনাবাহিনী কতটুকু শক্তিশালী


ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ।ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি এই দেশটিকে চেনেননা এমন মানুষ দুনিয়াতে নেই। শুধু ফুটবল নয় দেশটির সেনাবাহিনীর শক্তিও কম নয়। আমাদের আজকের পোস্টে দেখাবো এই দেশের সামরিক শক্তি সম্পর্কে।
** দেশটির মোট আয়তন ৮৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৬৭ বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের ৫৭ গুনের বেশি ।
** দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ২১ কোটি।
** এই জনসংখ্যার গড় মাসিক ইনকাম বাংলাদেশী টাকাই প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা।
চলুন জেনে নেই এই দেশটির সামরিক শক্তির বর্তমান অবস্থা।
** ব্রাজিল সামরিক বাহিনীতে মোট সদস্যের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫০০ জন এবং রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে ১৬ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০ জন।
** এই বাহিনীতে সর্বমোট ব্যাটেল ট্যাঙ্ক আছে ৪৬৯ টি।
** ব্রাজিল সেনাবাহিনীতে এপিছি বা বিভিন্ন ফাইটিং ভেহিকেল রয়েছে ১৭৬৫ টি।
** এই বাহিনীতে সেলফ প্রোপেল্ড আর্টিলারি আছে ২৪৮ টি।
** দেশটির গোলন্দাজ বাহিনীতে থাওয়েড আর্টিলারি আছে ৫৬৩ টি।
** এছাড়া ব্রাজিল সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন প্রকার সর্বমোট ১৯৮ টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম রয়েছে।
চলুন এবার দেখা যাক ব্রাজিল বিমান বাহিনীতে কি পরিমান যুদ্ধ বিমান আছে।
** এই বিমান বাহিনীতে সর্বমোট বিমান আছে ৭১৮ টি যাদের মধ্যে ফাইটার বিমান ৪৩ টি। এবং ১২১ টি এট্যাক এয়ারক্র্যাফট আছে ব্রাজিল বিমান বাহিনীতে।
** এই বাহিনীতে সর্বমোট ৩৬৯ টি পরিবহন বিমান রয়েছে।
** পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে এই বাহিনীতে আছে ১৭৫ টি প্রশিক্ষণ বিমান।
** সর্বমোট ২৩০ টি হেলিকপ্টার আছে ব্রাজিল বিমান বাহিনীতে। যাদের মধ্যে ১২ টি এট্যাক হেলিকপ্টার।
এবার দেখা যাক কি কি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে ব্রাজিল নৌবাহিনীতে।
** ব্রাজিলের সর্বমোট ৭,৪১৯ কিলোমিটার কোস্টলাইন আছে যা বাংলাদেশের কোস্টলাইনের প্রায় ১৩ গুন্ ।
** আর এই বিশাল সুমুদ্রসীমা পাহারা দিতে ব্রাজিল নৌবাহিনীতে রয়েছে ১১৩ টি যুদ্ধজাহাজ।
** যেগুলোর মধ্যে ৯ টি ফ্রিগেট, ৪ টি করভেট, ৫ টি সাবমেরিন, ৩৪ টি পেট্রল ক্র্যাফট এবং ৬ মাইন্ ওয়ারফেয়ার ভেসেল।
*****এই ছিল ব্রাজিলের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা।*****

শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

সিঙ্গাপুর সেনাবাহিনী কতটুকু শক্তিশালী


সিঙ্গাপুর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি ক্ষুদ্র দেশ। ছোট আয়তনের এই দেশটির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। শক্তিশালী এই অর্থনীতির দেশটির সেনাবাহিনীর শক্তিও কম নয়। আমাদের আজকের ভিডিওতে দেখাবো এই দেশের শক্তি সম্পর্কে।
**দেশটির মোট আয়তন মাত্র ৭১৯ বর্গ কিলোমিটার যা আমাদের বস মাশরাফির নড়াইল জেলার সমান।
**দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫৬ লক্ষ।
**এই জনসংখ্যার গড় মাসিক ইনকাম বাংলাদেশী টাকাই প্রায় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
চলুন জেনে নেই এই দেশটির সামরিক শক্তির বর্তমান অবস্থা।
**সিঙ্গাপুর সামরিক বাহিনীতে মোট সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৭২ হাজার এবং রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ জন।
**এই বাহিনীতে সর্বমোট ব্যাটেল ট্যাঙ্ক আছে ১৯৬ টি।
**সিঙ্গাপুর সেনাবাহিনীতে এপিছি বা আর্মড ফাইটিং ভেহিকেল রয়েছে ২,১৯২ টি।
**এই বাহিনীতে সেলফ প্রোপেল্ড আর্টিলারি আছে ৪৮ টি।
**দেশটির গোলন্দাজ বাহিনীতে থাওয়েড আর্টিলারি আছে ২৬২ টি।
**এছাড়া সিঙ্গাপুর সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন প্রকার সর্বমোট ১৮ টি রকেট লঞ্চার রয়েছে।
চলুন এবার দেখা যাক সিঙ্গাপুর বিমান বাহিনীতে কি পরিমান যুদ্ধ বিমান আছে।
**এই বিমান বাহিনীতে সর্বমোট বিমান আছে ২২৬ টি যাদের মধ্যে ফাইটার বিমান ৯২ টি। এবং ১১৯ টি এট্যাক এয়ারক্র্যাফট রয়েছে সিঙ্গাপুর বিমান বাহিনীতে।
**এই বাহিনীতে সর্বমোট ৬৩ টি পরিবহন বিমান রয়েছে।
**পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে এই বাহিনীতে আছে ৩৬ টি প্রশিক্ষণ বিমান।
**সর্বমোট ৭৬ টি হেলিকপ্টার আছে সিঙ্গাপুর বিমান বাহিনীতে। যাদের মধ্যে ১৭ টি এট্যাক হেলিকপ্টার।
এবার দেখা যাক কি কি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে সিঙ্গাপুর নৌবাহিনীতে।
**সিঙ্গাপুরের সর্বমোট ১৯৩ কিলোমিটার কোস্টলাইন আছে যা বাংলাদেশের কোস্টলাইনের ৩ ভাগের ১ ভাগ।
**আর এই সুমুদ্রসীমা পাহারা দিতে সিঙ্গাপুর নৌবাহিনীতে রয়েছে ৪০ টি যুদ্ধজাহাজ।
**যেগুলোর মধ্যে ৬ টি ফ্রিগেট, ৬ টি করভেট, ৬ টি সাবমেরিন, ১১ টি পেট্রল ক্র্যাফট এবং ২ মাইন্ ওয়ারফেয়ার ভেসেল।

*****এই ছিল সিঙ্গাপুরের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা।*****

বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭

খুলনা শিপইয়ার্ড আরও দুটি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করেছে


খুলনা শিপইয়ার্ড আন্তর্জাতিকমানের আরও দুটি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত এই দুই যুদ্ধ জাহাজের নাম নিষাণ ও দুর্গম। ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই দুটি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ জাহাজগুলো উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন দুই যুদ্ধ জাহাজ, ভৈরব ও রূপসা নদে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচলও করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
জাহাজ দুটি নির্মাণে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এই মানের জাহাজ বিদেশে তৈরি করতে এক হাজার কোটি টাকা খরচ হতো। জাহাজ দুটি নির্মাণে ২৪ মাস সময় লেগেছে। নৌ প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে বিএনএস দুর্গমের লঞ্চিং করেন। যুদ্ধ জাহাজ দুটি নির্মাণে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে চীন। যুদ্ধ জাহাজ দুটির প্রত্যেকটির গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল।যা আগামী আগামী ৮ নভেম্বর নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে।

এছাড়া একইসঙ্গে ১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দুটি টাগ বোট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশের সাবমেরিন চলাচলে সহায়তা করবে। হালদা ও পশুর নামের এই দুটি বোটের প্রতিটি জাহাজের দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার। মালয়েশিয়ার কারিগরি সহায়তায় এ টাগবোর্ড দুটি নির্মিত হয়েছে।

বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

বাংলাদেশে তৈরি ৫টি ক্ষুদ্র অস্ত্র


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুকায়নের সাথে সাথে নিজেদের প্রচেষ্টায় অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরাঞ্জম প্রস্তুত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্য অস্ত্র প্রস্তুত করছে। আমরা সবসময় বিভিন্ন দেশের অস্ত্র প্রস্তুতের খবর রাখলেও নিজ দেশের খবর রাখি না। সেরা ৫ টি অস্ত্র সম্পর্কে জানুন।
**১. ঈগল এফ এন ১৬ ম্যানপ্যাড।
চীনের প্রযুক্তি সহায়তায় বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় তৈরী কৃত সর্ব প্রথম মিসাইল সিস্টেম। এই মিসাইল সিস্টেমের মদ্ধ্যদিয়েই আকাশ পতিরখ্যাই বাংলাদেশে তৈরী অস্ত্র ব্যবহারের মাইল ফলক উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ।১৮ কেজি ওজনের কাঁধে বহনযোগ্য এই মিসাইল আকাশে ৬ কিলোমিটারের মধ্যে উড়ে যাওয়া যে কোনো বিমানকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এতে ব্যবহিত মিসাইলটি প্রতি সেকেন্ডে ৬০০ মিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম।
**২. ৮২ এম এম মিডিয়াম মর্টার।
এই মর্টারটি বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় তৈরী করা হয়। প্রথম প্রস্তুত করেছিল সেই সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই মর্টার সিস্টেম থেকে ৩ থেকে ৩.৫ কিলোমিটারের মদ্ধ্যে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা যাই। যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বি জি বি ব্যবহার করে থাকে।
**৩. হেকলার এন্ড কোচ জি ৩।
প্রস্তুতকারক দেশ জার্মানী। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতি মিনিটে ৫০০ থেকে ৬০০ রাউন্ড গুলি করতে সক্ষম। ৫০০ মিটার রেঞ্জের এই রাইফেল টি অত্যন্ত কার্যকরী ও অত্যাধুনিক।
**৪. বিডি ০৮ এসল্ট রাইফেল।
প্রস্ততকারক দেশ চীন। বিওএফ থেকে বাংলাদেশে উৎপাদন করা হয়। প্রতি মিনিটে ৬৫০ রাউন্ড
গুলি ছুঁড়তে সক্ষম। রেঞ্জ- ৫০০ মিটার। বাংলাদেশে এটি বিডি ০৮ নামে পাওয়া যায়। একে ৪৭ এর মত দেখতে হলেও একে ৪৭ থেকে বেশ পার্থ্যক্য রয়েছে এই রাইফেলটিতে।
**৫. টাইপ ৫৬ এসল্ট রাইফেল।
টাইপ ৫৬ অ্যাসল্ট রাইফেল এর প্রস্ততকারক দেশ চীন। বাংলাদেশের অস্ত্র কারখানা বিওএফ থেকে উৎপাদন করা হয় এই রাইফেল টি। ৪ কেজি ওজনের এই রাইফেলটি প্রতি মিনিটে ৬৫০ টি ফায়ার করতে পারে এবং ৩০০ থেকে ৪০০ মিটারের মদ্ধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম।

**বাংলাদেশে তৈরী অত্যাধুনিক এসল্ট রাইফেল হেকলর এন্ড কোচ জি-৩***
হেকলর এন্ড কোচ জি-৩ বিশ্ব বিখ্যাত এসল্ট রাইফেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হেকলর এন্ড কোচ এর তৈরি অতন্ত কার্যকরী একটি রাইফেল।এই রাইফেলটি মূলত একটি জার্মান এসল্ট রাইফেল, যা কিনা স্নাইপার রাইফেলের মতো ব্যবহার করা সম্ভব।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে পশ্চিম জার্মানিতে এই রাইফেল তৈরী করা হয়। রাইফেলটি দুই ধরণের হয়ে থাকে, যার একটি সেমি অটোমেটিক জি-৩ এ-৩, এবং উন্নতি সম্পূর্ণ অটোমেটিক জি-৩ এ-৪ ভার্সন।
এতে স্নাইপারের মতো দূর থেকে সর্ট নেওয়ার জন্য টেলিস্ক্প এবং রাতের বেলা স্পেশাল অপারেশন পরিচালনা করার জন্য নাইট ভিশন টুলস যোগ করা যায়।
তাছাড়া এতে সয়ংক্রিয় ভাবে গ্রেনেড ছোড়ার জন্য গ্রেনেডলান্চার যুক্ত করার সুবিধাও রয়েছে।
জি-৩ এ-৩ ভার্সনের রাইফেলটির ওজন মাত্র ৪.৪ কেজি এবং এ-৪ এর ওজন ৪.৭ কিজি, কম ওজন হওয়ায় সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে খুব সহজেই রাইফেলটি বহন করতে পারে।
এতে ব্যাবহার করা হয়েছে ৭.৬২ মি.মি. ন্যাটোস্ট্যান্ডার্ড বুলেট যা অধিক শক্তিশালী ও ভেদন ক্ষমতা যুক্ত।
এই রাইফেল থেকে ছোড়া বুলেটের সর্বোচ্চ কার্যকরী দুরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার অর্থাৎ আধা কিলোমিটার।
রাইফেলটি প্রতি মিনিটে ৫০০-৬০০রাউন্ড গুলি ছুড়তে সক্ষম।
জি-৩ এ-৩ রাইফেলটিতে ২০ রাউন্ড গুলির একটি বক্স যুক্ত থাকে, এবং এ-৪ রাইফেলটিতে থাকে ৩০ রাউন্ড।
বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা (বিওএফ) জার্মানির প্রযুক্তি সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরেই জি-৩ রাইফেলটির এই দুটি ভার্সনই উৎপাদন করে আসছে। যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ব্যবহার করছে। আবার অস্ত্র রপ্তানি শুরু হলে এই অস্ত্রটি রপ্তানি করা হতে পারে।