গত পোস্টে আপনাদের জানিয়েছি বাংলাদেশ তুরস্কের তৈরী ড্রোন, প্রশিক্ষণ বিমান ও এট্যাক হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী। তুরস্কের সংবাদ মাদ্ধমে এই খবর প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাদ্ধম বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফ থেকে এমন কোনো সংবাদ এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ যদি সত্যি এই অস্ত্র গুলো কিনতে পারে তাহলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই পোস্টে জানাবো তুর্কির ড্রোন TAI Anka কতটুকু কার্যকরী।
** TAI Anka ড্রোনটির দৈর্ঘ ২৬ ফুট এবং ডানার একপ্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তের দৈর্ঘ প্রায় ৫৭ ফুট।
আর মাটি থেকে যেটাকে পরিচালনা করতে দু জন কন্ট্রোলার প্রয়োজন হয়।
** সম্পূর্ণ লোডেড অবস্থায় মোট ১৬০০ কেজি ওজন হয় এই ড্রোনটির।
** একটি ১৫৫ হর্স পাওয়ারের ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিনের শক্তিতে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ২১৭ কিলোমিটার গতিতে ড্রোনটি উড়তে সক্ষম।
** একবার রসদ নিয়ে একটানা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উড়তে পারে এই ড্রোনটি। যা আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজার ১৪ বারেরও বেশি পাড়ি দেওয়ার সমান দূরত্ব।
** এছাড়া ড্রোনটি ২০০-২৫০ কেজি বোমা নিয়ে মাটি থেকে ২৫০০০ ফুট উপরে একটানা ২৪ ঘন্টা আকাশে উড়তে সক্ষম।
** ড্রোনটিতে মোট চারটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে যেগুলোর দুটি হার্ডপয়েন্টে তুর্কির তৈরী রকেটসান কিরীট লেজার গাইডেড এয়ার টু সারফেস, এন্টি ট্যাঙ্ক বা এন্টি আড়মোড় মিসাইল বহন করে যা প্রায় ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
** বাকি দুটি হার্ডপয়েন্টে আমেরিকার তৈরী AIM-9 Sidewinder এয়ার টু এয়ার মিসাইল বহন করে যা ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু বিমান বা হেলিকপ্টারকে আক্রমণ করতে সক্ষম।
এধরণের ৩ টি ড্রোন, একটি গ্রাউন্ড স্টেশন, মিসাইল এবং সাপোর্টেড কিছু যন্ত্রাংশ সহ এর মোট মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫২০ কোটি টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For Your Comment!!!